ভারত বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়াকে আমরা সমর্থন করি। দেখুন কেন সমর্থন করি- সময়ের বাতিঘর অনলাইন
ভারত বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়াকে আমরা সমর্থন করি। দেখুন কেন সমর্থন করি?
রপ্তানি বন্ধ না করলে ভারত যে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে পারে সেটা আমরা অনুধাবন করতে পারতাম না। আর এর থেকেও বড় কথা এই চাপে পড়েই যে আমরা লাভবান হব সেটাও বুঝতাম না। লাভবান কিভাবে হব?
ভাই, গরুর কথা মনে আছে? গরু বিক্রি করা বন্ধ ঘোষণার পর আমরা চাপে পড়েছি। কিন্তু ন্যাড়া তো বেলতলায় বার বার যায়না ভাই। মাত্র দুই বছরের ভেতরেই আমাদের আর ভারত থেকে গরু আনা লাগেনি।
পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও তাই। রপ্তানি বন্ধ না করলে ভারত থেকে শত শত কোটি টাকার পেঁয়াজ আসতেই থাকত। এদেশের পেঁয়াজ চাষীদের কপালে হাত উঠত। লাভের গুড় ভারত পেত। কিন্তু কথা হল ভারত ভেবেছিল এভাবে আমাদেরকে বারবার চাপে রাখতে পারবে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে আমাদের দেশের মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীরা।
কিন্তু বেল তলায় বাংলাদেশ বার বার যায়নি। তুরস্ক এবং মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্র পথে ইতোমধ্যে ২০,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়ে গেছে।
রপ্তানি বন্ধ না করলে আমরা কখনো বিকল্প উৎস খুজতে যেতাম না। বন্ধ করেছে বিধায় আমাদের চোখ খুলেছে। এবার আর মানুষ গতবারের মত মণকে মণ পেয়াজ কিনে মজুদ করছে না। সবাই জানে পেয়াজ আসবে। ভারত থেকে না আসলেও চলবে। ভারতের রপ্তানি বন্ধ আমাদের একটা ভাল শিক্ষামূলক অনুধাবন দিয়েছে। আর যারা ভেবেছেন ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ না খেয়ে মরবে তাদের ও হুঁশ ফিরেছে অথবা ফিরুক সেই কামনা'ই করি।
পেঁয়াজ কেন, ভারতের সাথে বাণিজ্যের প্রতিটি পণ্যের বিকল্প উৎসের সন্ধান করা উচিত। টাকার বিনিময়ে যারা রপ্তানি করে তাদের ফুটানি যারা টাকা দিয়ে কেনে তাদেরই খেতে হয়, কেন রে ভাই?
আরো অন্য পণ্য রপ্তানি বন্ধ করুক। এরপর বুঝবেন আমাদের সাময়িক অসুবিধা ভারতের দীর্ঘমেয়াদি আয় হারানোর কারণ হবে। আশাকরি এতে কারো আপত্তি থাকার কথা না। আর অবশ্যই এখন থেকে সময়ের বাতিঘর সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন মেম্বারসদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে আসুন আমরা বাজারে বিদেশি পণ্য না খুঁজি। দুই টাকা বেশি গেলেও দেশি পণ্য কিনি। এই দুই টাকা আপনার লস না। এই দুই টাকা দেশের জন্য আশীর্বাদ হবে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে ইনশাল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই