Header Ads

Header ADS

আত্মহত্যা! ভুল করার আগেই শিখুন। - সময়ের বাতিঘর অনলাইন

১০শে সেপ্টেম্বর "বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস" । বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটাচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়তই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছে । তবে আত্মহত্যা রোধে আমাদের সকলের ভূমিকায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


আপনি জানেন কি ??? 

প্রায় সব আত্মহত্যা প্রচেষ্টাকারী , প্রচেষ্টার পূর্বে কোন না কোন ভাবে দ্বিতীয় কোন পক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দেয় !!! 

যেমনঃ ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে ,কাওকে ফোন করে , গল্পের ছলে , হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে, ডাইরি লিখে  ইত্যাদি । একটি জরুরী প্রশ্নের উত্তর সকলেরই জেনে রাখা উচিত ।

আপনি কি করবেন যখন আপনি দেখছেন বা শুনছেন কেও একজন জীবন মৃত্যুর বর্ডার লাইনে দাড়িয়ে আছে ???

.

.

.



একটি উদাহরন দিয়েই শুরু করা যাক । টাইটেনিক মুভিটা একবার ও দেখেন নি এমন কেওকে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর । মুভির হিরো "জ্যাক" , হিরোইন "রোজ" । আসুন একটু কল্পার জগতে প্রবেশ করি  ,,,, মুভির এক পর্যায়ে রোজ জাহাযের ডেকের সামনে রেলিং ধরে দাড়িয়ে । সেই সময় প্রচন্ড দ্বিধা কাজ করছিল তার মনের গহীনে । সিগারেট খেতে বাইরে এসে জ্যাক রিতিমত হতবাক  । সে দেখতে পেল একটি যুবতী মেয়ে আত্মহত্যার চুড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছে । অতঃপর সে এগিয়ে গেল সেই রমনীর দিকে এবং সে তার সাথে কথা বলতে থাকল , সিগারেট ফেলার নাম করে  তার তার দিকে এগিয়ে গেল ধীরে ধীরে । এরপর শুধুমাত্র কথার জালে আটকিয়ে  তাকে উদ্ধার করল (কষ্ট করে মুভির এই অংশটি দেখলে পরিষ্কার ধারনা পাবেন ) । যার পরবর্তী প্রেম কাহিনী অত্যান্ত মধুর , যাই হউক প্রেমের গল্প বলে অাসিনি । 

অথাৎ মূল কথা তার সাথে যে কোন মূল্যে কথা চালিয়ে যেতে হবে । তবে খুবই সার্থকতার  যেমনঃ আচ্ছা আপনি আত্মহত্যা করবেন , আমি বাধা দিচ্ছিনা না ,  তবে আপনি অন্তত আপনার আত্মহত্যা করার কারনটা আমাকে বলুন , কিছুটা ত বলুন  , আমার জানতে খুব ইচ্ছা করছে , কেও একজন কে ত জানিয়ে জান আপনার মনের বেদনার কথা ! মৃত্যুর আগে কাওকে ফিরিয়ে দিবেন না প্লিজ।  এইভাবে কনভেন্স করে কথা শুরু করা যেতে পারে । রাগ যেমন সময়ের সাথে রিমুভ হয় , কষ্ট (হতাশা বা বিষণ্ণতা) নামক অাবেগ ও একই রকম । কথা বলতে থাকলে নিশ্চই সে অাগের থেকে শান্ত হবে । একটি গবেষণা বলছে অত্যন্ত ৪০ সেকেন্ড কথা চালিয়ে যেতে পারলে তার মনোযোগ কিছুটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।  তখন আপনি তাকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে বোঝাতে শুরু করুন । এর ফাঁকেই কাওকে ছোট করে মেসেজ পাঠিয়ে দিতে পারেন ঘটনা স্থলে অাসার বা ফোন দিয়ে আপনাদের কথপোকথন শোনাতে পারেন । নিশ্চই এতক্ষনে কেও আসবে । অার এই ভাবেই বাঁচতে পারে একটি প্রাণ , একটি জীবনের  গল্প । এই যাত্রাই  বেঁচে গেলও পরবর্তী যাত্রা থেকে বিরত রাখতে দ্রুত কোন ভাল সাইকোলজিষ্টের সরনাপন্ন হউন । যিনি রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবেন।

পরিশেষে বলতেন চাই, আশেপাশের মানুষগুলোর ছোট ছোট আবেগ গুলো গুরুত্ব দিন । কেউ কোন কষ্টের কথা বলতে চাইলে কখনোই অবহেলা করবেন না । হয়ত সেই অবহেলায় তাকে আত্মহত্যার পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে । 

সুতরাং তাকে বুঝতে দিন আপনি তার পাশে আছেন। কেউ না বুঝলেও আপনি তাকে বোঝেন , তার কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনুন , কথা বলার সময় স্বর নরম রাখুন , তার জীবনের ইতিবাচক দিক গুলো তুলে ধরুন , নতুন করে জীবন শুরু করার পথ আছে সেই নিশ্চয়তা দিন ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.