পদ্মা ও মহানন্দায় আশংকাজনক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি। সময়ের বাতিঘর অনলাইন
মহানন্দা ওপদ্মা নদীতে পানি দ্রুতই বাড়ছে। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ,এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তবে পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদী গুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এতে জেলার সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলার প্রায় ৩ হাজার ৪৪৪ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে কলাই প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর, রোপা আমন ৮৭৭ হেক্টর এবং প্রায় ১০০ হেক্টর শাকসবজি নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক
জানান, সদর উপজেলায় নিমজ্জিত ফসলি জমির মধ্যে কালাই ও শাকসবজি ৮০০ হেক্টর, শিবগঞ্জ
উপজেলায় কালাই ও শাকসবজি ১ হাজার ৫০০ হেক্টর ও গোমস্তাপুর উপজেলায় কালাই, রোপা আমন
ও শাকসবজি ১২০০ হেক্টর রয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার কৃষকের । কিছুদিনের
মধ্যে ক্ষেতের নিমজ্জিত অংশের পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমান কিছুটা কম হতে পারে বলে
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, নিমজ্জিত এলাকাগুলি
হচ্ছে- সদর উপজেলার শাহজাহানপুর, দেবী নগর, সুন্দরপুর, ইসলামপু্ নারায়নপুর, তুলাতলি
ইউনিয়ন ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌরসভার নিম্নাঞ্চল, শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুকুরিয়া,শাহবাজপুর
,মোবারকপুর, শ্যাম্পুর, মনোকষ, দুর্লভপুর, বিনোদপুর, ছত্রাজিতপুর, চককীর্তি, ধাইনগর,
কানষাট, পাকা, ঘোড়াপাখিয়া, উজিরপুর নয়ালাভাংগা ইউনিয়ন ও শিবগঞ্জ পৌরএলাকার নিচু এলাকা।
এছাড়া গোমস্তাপুর এলাকার রহনপুর, রাধানগর, পার্বতীপুর, চউডালা, আলীনগর,বাংগাবাড়ি ও
বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কিছুঅংশ প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী
মেহেদি জানান, সদর উপজেলার দেবীর এলাকায় মহানন্দা নদীতে সামান্য ভাংগন দেখা
দিয়েছে। অধিক বর্ষণের ফলে মহানন্দায় পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পানি বিপদসীমার নিচ
দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। দুয়েক দিনের মধ্যে পানি কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় ৩ সেমি মহানন্দায় ১৩ সেমি ও পুনরভবায় ২২ সেমি পানি
বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই