রানীহাটি ইউনিয়নের "ওরা ১৬ জন"
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দেশের অসংখ্য মানুষ। এই সংকটকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৬ নং রানীহাটি ইউনিয়নে "সময়ের বাতিঘর বহুমুখী সমাজকল্যাণ সংগঠন" এর উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় ১৬ জন যুবক যুবতী। তারা দিনমজুর, ভ্যানচালক ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি দুই দফা ত্রাণ বিতরণের পর এখন তৃতীয় দফায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে "ঈদ প্যাকেজ -২০২০" দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে গ্রামের দরিদ্র মানুষগুলোকে ঘরে রাখতেই খাদ্য সহযোগিতার এই উদ্যোগ নেন তারা। এর আগে টিউশনি, প্রবাসী ও চাকরিজীবী যুবকদের দেওয়া অর্থ দিয়ে গঠন করা হয় ফান্ড। সেই টাকা দিয়ে চাল, ডাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ, আলু কিনে প্যাকেট করে গ্রামের কর্মহীন মানুষদের বাড়ি বাড়ি রাতের আধারে পৌঁছে দেন তারা।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের কর্তাদের একজন বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারীর এ সময় "সময়ের বাতিঘর বহুমুখী সমাজকল্যাণ সংগঠন" থাকবে অসহায় মানুষের পাশে। এই লকডাউনের সময়গুলোতে তাদের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে এজন্য সকলের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন।'
চারপাশের নানা অনিয়মে মানুষ আজ হতাশ! অন্ধকারে নিমজ্জিত ভবিতব্য! ত্রাণ না পেয়ে ত্রাণের গাড়ির পেছনে মা ছেলের দৌড়, ত্রাণ দেয়ার নামে দিনমজুরের মেয়েকে ধর্ষণ, ত্রাণের চালে গুদাম ভর্তি করা, এগুলো একদিন ইতিহাস হবে! একদিন করোনাভাইরাস চলে যাবে, কিন্তু এ ব্যাথা, এ ক্ষত রাষ্ট্রের শরীরে কলংক হয়ে রবে চিরকাল!
এ সময় ৬ নং রানীহাটি ইউনিয়নের এই ১৬ জন এবং তাদের নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান "সময়ের বাতিঘর বহুমুখী সমাজকল্যাণ সংগঠন" এর কথা অত্র এলাকার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে আজীবন।
তাই তো "তাদের জন্যে" বিহারের আমির আজিজের কবিতার মতো করে বলতে হয়ঃ
কিছু মানুষ অন্তত ছিলো যারা করোনার হুংকারে দমেনি, কালবৈশাখীর ঝাপটায় উড়ে যায়নি;
তারা ত্রাণ নিয়ে ছুটেছে এপার থেকে ওপারে
নিজের সর্বস্ব দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে কিছু সহায়হীনকে!
তারা ক্যামেরার ফ্রেমের মহাপুরুষ হতে আসেনি;
তারা এসেছিলো রাষ্ট্রের পিঠে গজে উঠা অসংখ্য কলংকের দাগ মুছতে!
তারা এসেছিলো মহাদুর্যোগের ক্ষণে ক্ষুধার্তের অন্ন হয়ে, নিরীহের শক্তি হয়ে, অসহায়ের সহায় হয়ে!
তারা এসেছিলো এক জীবন বলি দিবে বলে, এক পৃথিবী বাঁচিয়ে রাখবে বলে!
ভালোবাসা ভাইদের জন্য।
উত্তরমুছুনভালোবাসা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জনাব হাবিবুর রহমান
উত্তরমুছুনপ্রানের সংগঠনের জন্য সকলের কাছে দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করছি।ভালবাসা রইল সকলের প্রতি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনঅনেক সুন্দর হয়েছে।।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন